থাক না কিছু কথা আড়ালে। নিরোবে বয়ে যাক স্রোতশিনী, কলকল শব্দ কি জরুরি? বাঁধ ভাঙে যে বন্যা, নিরবে করে আগমন, বিদায়ের বেলাতেও থাকে নিশ্চুপ চলন। মাঝে যে তান্ডব চলে, তাতে কি করে গর্জন? চর ভড়ে, বাঁধ ভাঙে, ভূমি ধ্বস হলে, সরব, হৈচৈ, রাত-দিন জুড়ে সব মানুষের ভিড়! তবু সে নিরব একলা, সেই জানে তার ভিত (ভিত্তি/ উদ্দেশ্য) থাক না কিছু সত্য অব্যক্ত, সময় না হয় করুক উন্মচন! কোন আইনে আছে লেখা, সমস্ত অনুভুতি চাই অনুভুত হওয়া? থাক না কিছু অভিপ্রায় অপূর্ণ! অপূর্ণতার রূপ-বৈচিত্র, ভাঙা আয়নার মত। কত শত দিক-কোন দৃশ্যমান দৃশ্য তবু সেই এক আমিকেই খোঁজ! হোক না কোন দিন অন্যের তরে, বিশাল এ বিশ্বের ভিন্নতার ভিড়ে! থাক না কোনো অপেক্ষা চির অপেক্ষমান। সব পেয়ে পরে আছে কি করার? থাক না কিছু ব্যথা বেদনায় ভরা। চির আনন্দও যে এক অপূরণীয় ক্ষত! থাক না কিছু স্মৃতি স্মৃতিপটের বাহিরে। হোক কোনো জগত এ অবাস্তব জগতের বাহিরে, সে জগত সকল বিশালতাকে ছাড়িয়ে, অসীমে মিলেছে দেখ কদম বাড়িয়ে, হোক তাতে চলা চির কালের তরে। সফলতা ছুঁতে যেন আজীবন লাগে।